ঈদের হাওয়ায় পর্যটক মুখর সৈকত - কক্সবাজার কন্ঠ

বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃহস্পতিবার

বিষয় :

প্রকাশ :  ২০১৯-০৮-১৭ ১৯:০৯:০৪

ঈদের হাওয়ায় পর্যটক মুখর সৈকত

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার: ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ছুটিতে লাখো পর্যটকে মুখরিত হয়ে উঠেছে সৈকত নগরী কক্সবাজার। ১৬ আগস্ট শুক্রবার প্রায় ৩ লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে বলে ধারণা করছে পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ঈদের হাওয়া ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন থাকায় শুক্রবার সকালে বৃষ্টির কারণে সৈকতে তেমন পর্যটকের সমাগম না ঘটলেও দুপুর থেকে আবারও বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আনা-গোনা বেড়েছে। সৈকতের ১১টি পয়েন্টসহ হিমছড়ি, ইনানী, রামু, মহেশখালী ও আশপাশের পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে ভ্রমণ করছে আগত পর্যটকরা।
পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরকারি ছুটির সঙ্গে সাপ্তাহিক ছুটি যোগ হয়ে ৮ আগস্ট থেকে ঈদের ছুটি শুরু হয়। তবে ঈদের পরদিন থেকে পুরোদমে পর্যটক আসা শুরু করে কক্সবাজারে। এ কয়দিনে এখানকার প্রায় ৪ শ হোটেল, মোটেল ও গেস্ট হাউস শতভাগ বুকিং ছিলো। আশা করা হচ্ছে, এ সময় অন্তত তিন লক্ষাধিক পর্যটক কক্সবাজারে বেড়াতে আসছেন।
হোটেল কক্সটুডের সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) আবু তালেব জানান, ইতোমধ্যে হোটেলগুলোতে ৮০ ভাগ রুম বুকিং ছিলো। বর্ষা মৌসুমের কারণে এ বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় সাড়া আমাদের কাছে সাড়া একটু কম ছিলো। তিনি আরও বলেন, পর্যটকদের ভ্রমণ আনন্দদায়ক করতে হোটেলগুলোতে নানা আয়োজন রাখা হয়েছে।

ঢাকা সাভার থেকে আসা সাদেকুল ইসলাম বলেন, সমুদ্রের প্রতি আমার টান দীর্ঘদিনের। তাই ছুটি পেলেই ছুটে আসি সাগর পাড়ে। এবার ঈদের ছুটিতে শেষে হলেও পরিবার নিয়ে কক্সবাজার এসেছি। ভালো সময় কাটবে বলে আশা করছি।

কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের এসপি মো. জিল্লুর রহমান জানান, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে শুধু কক্সবাজার সৈকত নয়, সৈকতের আশপাশে যেসব পর্যটন কেন্দ্র আছে যেমন হিমছড়ি, ইনানী, মেরিন ড্রাইভরোডসহ অন্য স্পটগুলোতে সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন জানান, পর্যটকদের বাড়তি চাপ সামলানোর পাশাপাশি তাদের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিত করতে পোশাকধারী ও সাদা পোশাকে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। আর র‌্যাব-পুলিশের পাশাপাশি সার্বক্ষণিক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত রয়েছে।

আরো সংবাদ