কক্সবাজারে করোনা রোগীর সেবায় পুলিশের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস - কক্সবাজার কন্ঠ

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবার

বিষয় :

প্রকাশ :  ২০২০-০৬-১৬ ১৩:২০:৩১

কক্সবাজারে করোনা রোগীর সেবায় পুলিশের ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস

শফিউল্লাহ শফি, কক্সবাজার : কক্সবাজারে করোনা রোগিদের সেবায় এক মহতি উদ্যোগ হাতে নিয়েছে জেলা পুলিশ। জেলা শহরে করোনা রোগি বললেই যেকোন যানবাহন যেখানে সব সময় সর্বদায় মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে সেখানে মানবিক চিন্তা ধারায় এগিয়ে এসেছে পুলিশ। করোনা রোগিদের সেবায় রাত-দিন ২৪ ঘন্টা চালু করা হয়েছে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস। ফোন করলেই যে কোন করোনা রোগিকে হাসপাতাল কিংবা গন্তব্যে পৌছেঁ দিচ্ছে এই অ্যাম্বুলেন্সটি।

সূত্রমতে, করোনা রোগিদের সেবায় পুলিশের চালু করা অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সাধারণ লোকজনসহ সর্বমহলে সুনাম কুঁড়িয়েছে। দীর্ঘ কয়েকমাস ধরে কক্সবাজার জেলা শহরে লকডাউন চলমান থাকায় মানুষ একদিকে আর্থিক সংকটে ভুগছেন। অন্যদিকে করোনা রোগি বললে যানবাহন চালকদের অনিহা প্রকাশ আরো বেশি ভোগান্তিতে ফেলেছেন করোনা আক্রান্ত পরিবার গুলিকে। যা খুবই কষ্টদায়ক। ঠিক এই কঠিন মুর্হুতে কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম মানবিক সেবা হিসেবে ফ্রি অ্যাম্বুলেন্স চালু করায় অনেকটা স্বস্থি ফিরেছে সমস্যাগ্রস্থদের মাঝে। আজ মঙ্গলবার (১৬ জুন) দুপুরে কক্সবাজার জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসটির আনুষ্ঠানিক উদ্ভোধন করেন জেলা পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেন, বিপিএম।

উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন বলেন, কেবলমাত্র করোনারোগীদেরকে এই অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস সেবাটি দেয়া হবে। এই সেবা পেতে করোনা রোগির পরিবার থেকে পুলিশের ০১৭২৭-৬৬৬৬৬৬ নম্বর মোবাইল ফোন এবং ০৩৪১-৬৪০৪৮ নম্বর টিঅ্যান্ডটি ফোনে যোগাযোগ করতে হবে। ফোন ২টি ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।

কক্সবাজার পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন বিপিএম যুগান্তরকে বলেন, মানুষের দুঃখ দুর্দশা এবং হতাশা দেখে এই মানবিক সেবাটি চালু করা হয়েছে। তৎমধ্যে দুইটি বিষয় আমাকে বেশি নাড়া দিয়েছে। একটি সম্প্রতি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যান এক ব্যক্তি। পরে তার লাশ নেয়ার জন্য দীর্ঘ সময় কোন অ্যাম্বুলেন্স পাইনি।
আরেকটি রোববার (১২ জুন) স্থানীয় সাংবাদিক ও ক্রীড়াবিদ জিয়াউল করিমের স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়ায় চমেকে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুলেন্স এর জন্য অনেক ভুগান্তিতে পড়তে হয়েছে। পরে চট্রগ্রাম মেডিকেল কলেজের সামনে অ্যাম্বুলেন্সয়েই তিনি মারা যান। এই দুইটি ঘটনা থেকে জেলা পুলিশের সদস্যদের রেশন, পুলিশ কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত অনুদান এবং কয়েকজন প্রবাসী ব্যক্তির দানের অর্থ নিয়ে পুলিশ এমন উদ্যোগ হাতে নিয়েছে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, সারা দেশের মধ্যে করোনার মহামারিতে কক্সবাজার চার নম্বরে রয়েছে। সুতারাং এই মহামারির বিষয়টি মাথায় রেখে কক্সবাজারবাসিকে সর্তক হতে হবে। অন্যতায় চলমান মৃত্যুর মিছিল থেকে কেউ রেহায় পাবেনা।

আরো সংবাদ