কক্সবাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ক্যাম্পেইন - কক্সবাজার কন্ঠ

শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪ ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২১-১২-০২ ১৩:০৪:১৩

কক্সবাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ক্যাম্পেইন

কক্সবাজারে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ক ক্যাম্পেইন

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি  :   ইউএনডিপি তার অংশীদার ব্র্যাক ও প্র্যাক্টিকাল একশনের সাথে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিষয়ে ব্যবহারিক কার্যক্রম নিয়ে একটি মাসব্যাপী গণসচেতনতামূলক প্রচারাভিযান শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) উখিয়া ইউএনও অফিস মিলনায়তনে গণসচেতনতামূলক অভিযানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইউএনডিপির প্রজেক্ট ম্যানেজার, ব্র্যাক, ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, ডিপিএইচই, সমবায় কর্মকর্তা, শিক্ষা কর্মকর্তা, ওয়াশ সেক্টরের প্রতিনিধি এবং ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ অনুষ্ঠানে তাদের বক্তব্য রাখেন। পরে, ইউএনও গণসচেতনতামূলক প্রচারাভিযানের উদ্বোধন করেন এবং স্বেচ্ছাসেবকরা প্রচারণা কার্যক্রমের একটি প্রদর্শনী দেখান। শেষ পর্যন্ত, উখিয়া বাজার অভিমুখে একটি র‌্যালি হয়েছে এবং বাজার কমিটির সদস্যরাও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার গুরুত্ব এবং ৩জং (জবফঁপব, জবঁংব, জবপুপষব) বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। এই মাসব্যাপী প্রচারাভিযানটি স¤প্রদায়ের পাশাপাশি বাজারে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য। প্রচারাভিযান চলাকালীন ইউএনডিপি রেডিও অনুষ্ঠান, পথনাটক, সম্প্রদায়ের সাথে পরামর্শ এবং মার্কেট প্লেসে দোকান মালিকদের মাধ্যমে সচেতনতা চালাবে।

ইউএনডিপির সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্টের প্রজেক্ট ম্যানেজার মার্তা কুচারস্কি ডুরান বলেছেন, “আমরা যতই ডাস্টবিন দিয়ে রাখি না কেন, যতক্ষণ না আমরা বর্জ্য এবং এর পরিবেশগত বিপদ সম্পর্কে সচেতন হই ততক্ষণ কিছুই পরিবর্তন হবে না। কঠিন বর্জ্যের একটি টেকসই সমাধান অর্জনের জন্য, এই যোগাযোগ প্রচারাভিযান সম্প্রদায়ের মধ্যে সচেতনতা গড়ে তুলতে সাহায্য করতে পারে।”

শওকত আরা বেগম, বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর, প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন, আরও বলেছেন, “এ পৃথিবী আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে, এবং আমাদের জন্য এখন সময় এসেছে প্রকৃতি মাকে ফিরিয়ে দেওয়ার। সময় হয়েছে বাংলাদেশের পৌরসভার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার, এবং এই প্রকল্পটি হতে পারে সমস্ত ইউনিয়নের জন্য রোল মডেল।”

মিয়ানমার থেকে উদ্বাস্তু আসায় কক্সবাজারের জনসংখ্যা অনেকাংশে বেড়েছে। টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার জনসংখ্যা ১৫ লাখে দাঁড়িয়েছে। এই আকস্মিক জনসংখ্যা বৃদ্ধি বিদ্যমান স্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা আচরণ ব্যবস্থার উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, যার মধ্যে রয়েছে স্বল্প তহবিলযুক্ত এবং কম রিসোর্সড সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট (ঝডগ) পরিষেবা। দুর্বল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা হোস্ট স¤প্রদায় এবং উদ্বাস্তু উভয়কেই প্রভাবিত করেছে। গড় মাসিক বর্জ্য প্রায় ১০,০০০ টন ছাড়িয়ে গেছে।

এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউএনডিপি বাংলাদেশ ও সুইডেনের সরকারের সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। যৌথভাবে তারা ২০১৮ সালে তার অংশীদার প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন এবং ব্র্যাকের সাথে সংকটের প্রতিক্রিয়া হিসাবে “কঠিন বর্জ্যের টেকসই সমাধান” নামে একটি প্রকল্প চালু করেছে। প্রকল্পটি বর্তমানে টেকনাফ এবং উখিয়ায় স্থানীয় সরকারকে সহায়তা দিতে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।    কোভিড-১৯ পরিস্থিতি মাথায় রেখে কর্তৃপক্ষ যথাযথভাবে সমস্ত সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।

আরো সংবাদ