কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র - কক্সবাজার কন্ঠ

সোমবার, ৬ মে ২০২৪ ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২১-০৮-২৯ ০৮:১৭:৪৯

কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈকত ও পর্যটনকেন্দ্র

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার :  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজার হবে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সৈকত, পর্যটনকেন্দ্র ও অত্যন্ত আধুনিক শহর। সেভাবে পুরো কক্সবাজারকে উন্নত সমৃদ্ধ করবো ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, পৃথিবীর সর্ববৃহৎ বালুকাময় সমুদ্র সৈকতে বিদেশি পর্যটকদের জন্য স্পেশাল জোন করা হবে। যেখানে শুধু বিদেশিরা আসতে ও যেতে পারবেন। তারা যেনো তাদের মতো করে সবকিছু উপভোগ করতে পারেন সে ব্যবস্থা করে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

রবিবার (২৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে স¤প্রসারণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

করোনা ভাইরাসের প্রকোপের মধ্যেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের উন্নয়নে অনেক চিন্তা-পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে, আর কক্সবাজার নিয়েতো আরও বেশি।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বিমানবন্দর প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হলে ১০ হাজার ৭০০ ফুট রানওয়ে হবে। যা রাজধানীর হজরত শাহজালাল বিমানবন্দরের (১০ হাজার ৫০০ ফুট) চেয়েও বেশি। এর ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের বোয়িং ৭৭৭ ও ৭৪-এর মতো বড় আকারের বিমানগুলো এই বিমানবন্দরে অবতরণ করতে পারবে এবং এর ফলে এখানে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনা করার পথ সুগম হবে। এ প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দেশের চতুর্থ আন্তর্জাতিক এই বিমানবন্দর যাত্রা শুরু করবে।

বহির্বিশ্বের পর্যটকদের কাছে কক্সবাজারকে নতুনভাবে পরিচয় করিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এই বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিকমানে উন্নীত করার কাজে হাত দিয়েছে সরকার। এজন্য বেশকিছু প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। বিমানবন্দরের নতুন টার্মিনাল ভবনের স¤প্রসারণ, এয়ার ফিল্ড গ্রাউন্ড, লাইটিং সিস্টেম স্থাপনসহ বেশ কিছু কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এখনও চলমান রয়েছে অনেকগুলো কাজ। দেশে প্রথমবারের মতো কক্সবাজারের সমুদ্রবক্ষে নির্মাণ করা রানওয়ের খরচ ধরা হয়েছে এক হাজার ৫শ’ ৬৯ কোটি টাকা।

এ সময় কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রান্তে যুক্ত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান, বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম. মফিদুর রহমান, কক্সবাজারের সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতারা। এ সময় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী বলেন, এ প্রকল্প পর্যটন ও অর্থনৈতিক বিকাশে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে।

 

আরো সংবাদ