ঘুমধুম বরইতলীতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা - কক্সবাজার কন্ঠ

সোমবার, ৬ মে ২০২৪ ২৩শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২০-০২-১৬ ০৪:৩১:০৮

ঘুমধুম বরইতলীতে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা

নিউজ ডেস্ক:  চতুর্থ শ্রেণীর এক মেধাবী ছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অপহৃত ছাত্রীর নাম রেশমী আক্তার (১০)। তার বাবার নাম নূর মোহাম্মদ। মৃত রেশমি আক্তার বড়ইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী। অপহরণের ২০ ঘণ্টা পর শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বরইতলী এলাকায় একটি পাহাড়ি ঝিরি থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরই মাঝে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একজনকে আটক করে পুলিশ।

পুলিশ জানান, রেশমি আক্তার গত শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) ১টি বাছুরসহ ৫টি গরু নিয়ে বাড়ির পাশের একটি খেলার মাঠে চরাতে যায়। সঙ্গে ছিল তার আরো এক বোন মায়মুনা আক্তার। দুবোন বেশ ক’ঘণ্টা এখানে গরু চরায়। মায়মুনা আক্তার জুমার নামাজের পর পাশের অপর একটি খেলার মাঠে খেলতে গেলে রেশমি একা এ গরুগুলো চরাতে থাকে। পরে এসে মায়মুনা আক্তার তার বোনকে আর খুঁজে পায়নি। পর দিন শনিবার দুপুরের দিকে তাকে পার্শ্ববর্তী বড়ইতলীর শুকনা ঝিরি থেকে মৃত উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতের বাবা নূর মোহাম্দ জানান, তার মেয়ের প্রতি ক্লাসেই রোল ছিল এক। এ বছরও তাই। আর ছোট মেয়ে মায়মুনা তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার রোলও এক। সে পেশায় নূরানী মাদরাসার শিক্ষক। আর ইমামতি করে একটি মসজিদে। ঘটনার দিন শুক্রবার সকাল ৯টায় তার দুই মেয়েকে  গরু নিয়ে পাশের খেলার মাঠে চরাতে বলেন তিনি। কিন্তু তার ছোট মেয়েটি বিকেলে বাড়ি ফিরে আসলেও রেশমি আক্তার আসেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পর তার লাশ উদ্ধার করা হয় গতকাল। এ সময় তিনি নিজে উপস্থিত ছিলেন। তার দৃঢ় বিশ্বাস তার মেয়েকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়।

স্থানীয় অপর একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানান, মেয়েটিকে প্রথমে অপহরণ করা হয়। এর পর তাকে নির্জন বড়ইতলী শ্বশ্মানের পাশে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় হয়তো সে চিৎকার করায় তাকে কিছু একটা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করেছে ধর্ষক। হত্যার পর লাশটি টেনে হেঁচড়ে বেশ দূরে শুকনো ঝিরির একটি চিপায় তার লাশ দেখতে পায় তারা। তবে তার পরণের প্যান্টটি পাওয়া যায় অন্য স্থানে-পাহাড়ের একটি ঢালুতে। আর এ কারণে স্থানীয় আনসার ভিডিপি সদস্যরা কৌশল খাঁটিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মো. রাশেল নামের এক যুবককে আটক করে পুলিশে দেয় তারা।
তারা আরো বলেন, ধর্ষণের সময় ব্যবহৃত রাশেলের পরনের লুঙ্গিটিও উদ্ধার করে পুলিশে দেয়। তবে রাশেলের বক্তব্য নিতে চেষ্টা করলেও পুলিশি হেফাজতে থাকায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। লাশ উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া এসআই এনামুল হক জানান, আসলে ধর্ষণের পরে মেয়েটিকে মারা হয়েছে কিনা তিনি এ মুহূর্তে বলতে পারবেন না। কারণ এটি ডাক্তারের পরীক্ষার দরকার। থানার অফিসার ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন জানান, মেয়েটি পাওয়া গেছে মৃত। আর মাথায়, কপালে ও নাকে আঘাত আছে। খুনি হয়তো উঠতি বয়সী। বিস্তারিত তদন্ত করে জানা যাবে।

উল্লেখ্য, এর আগে গত সপ্তাহে অত্র নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জারুলিয়া ছড়ি এলাকা থেকে একটি বিছিন্ন হাত ও এক নারীর খন্ডিত লাশ পাওয়া যায়। এর বেশ আগে বাইশারীতে দু’উপজাতী নেতাসহ পুরো পাহাড়ি এলাকায় বেশ ক’টি খুন হলেও এসবের কোনো ক্লু মানুষ এখনো জানতে পারেনি। এসব ঘটনা নিয়ে মানুষ চরম আতংকে রয়েছেন।

আরো সংবাদ