লকডাউনের ৩য় দিনেও কঠোর অবস্থানে প্রশাসন - কক্সবাজার কন্ঠ

শনিবার, ৪ মে ২০২৪ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবার

প্রকাশ :  ২০২১-০৭-০৩ ১৩:৫৫:৫৬

লকডাউনের ৩য় দিনেও কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

লকডাউনের ৩য় দিনেও কঠোর অবস্থানে প্রশাসন

বিশেষ প্রতিবেদক : কঠোর লকডাউনের বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নের ৩য় দিনেও কঠোর অবস্থানে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন। শনিবার (৩ জুলাই) শহরের প্রতিটি মোড়ে মোড়ে অবস্থান করছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা। কক্সবাজারে চলমান কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ২দিনে ২ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে প্রশাসন। কক্সবাজার শহরের প্রধান প্রধান মার্কেট ও দোকান পাট বন্ধ রয়েছে। তবে ওষুধের দোকান, মুদির দোকানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান খোলা রয়েছে। কক্সবাজার-চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কসহ বিভিন্ন রোডে যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ রাখতে পুলিশের নেতৃত্বে ট্রাফিক পুলিশ ৮টি পয়েন্টে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। অপরদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৪টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও চলছে লকডাউন কঠোর।

দুপুরে সরজমিনে দেখা যায়, শহরের পানবাজার এলাকায় যান কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামানসহ সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব, নৌ-বাহিনী ও আনসার সদস্যরা। তারা অপ্রয়োজনীয় যানবাহন আটককে ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। পাশাপাশি নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে আসা মানুষদের সতর্ক করছে। আবার অনেক সময় জরিমানাও করছে। শুধু প্রধান সড়কস্থ পানবাজার এলাকায় নয়, শহরের বিমানবন্দর সড়ক, হলিডে’র মোড়, জাম্বুর মোড়, কলাতলীর ডলফিন চত্বর, বাস টার্মিনাল ও লিংক রোডেও একই অবস্থা।

এই পয়েন্টগুলোতে অবস্থান নিয়েছে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটরা। তারা অপ্রয়োজনীয় যানবাহন আটকানোর পাশাপাশি ঘরের বাইরে এসে অহেতুক ঘোরাঘুরি করছে এমন লোকজনদেরও জরিমানার আওতায় আনছে।

কক্সবাজার শহরে কঠোর লকডাউন কার্যকর ও স্বাস্থ্য বিধি মানতে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে জেলা প্রশাসনের একাধিক টিম। অপরদিকে দ্রব্যমুল্য স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনের মোবাইল টিম বিভিন্ন বাজারে অভিযান অব্যাহত রেখেছে। জেলায় ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগন সার্বক্ষনিক মাঠে রয়েছে।

অপরদিকে জেলার ৮ উপজেলায় কঠোর লকডাউন কার্যকর করতে মাঠে রয়েছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। উপজেলা পর্যায়ে সেনাবাহিনী ও বিজিবি লকডাউন কার্যকর করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সহায়তা করতে মাঠে ছিলেন।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ বলেন, সরকারি নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন পূর্বক করোনা প্রকোপ থেকে জেলাবাসীকে রক্ষায় বৃষ্টির মধ্যেও জেলা প্রশাসনের ৩০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে ছিল। তাদের সঙ্গে কাজ করেছে জেলা পুলিশসহ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি আরও জানান, এই লকডাউনে যারা অকারণে বা খোঁড়া অজুহাতে ঘরের বাইরে বের হয়ে ঘোরাঘুরি ও অপ্রয়োজনে যানবাহন নিয়ে বের হচ্ছে তাদেরকে মামলা ও জরিমানার আওতায় আনা হচ্ছে। তাই করোনা প্রতিরোধে সকলকে কঠোর লকডাউনের বিধি-নিষেধ মেনে চলতে হবে।

এদিকে কঠোর লকডাউন বিধি-নিষেধের দ্বিতীয় দিনে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে ৩০টি অভিযানে ২১৪টি মামলায় ২১৮ জনকে দন্ডিত করা হয়েছে। এছাড়া জরিমানা আদায় করা হয়েছে ১ লাখ ৮৬ হাজার ৩৫০ টাকা। তবে কাউকে কারাদন্ড দেয়া হয়নি। আর প্রথম দিনে বিধিনিষেধ অমান্য করে ঘর থেকে বের হয়ে সড়কে ঘোরাঘুরি ও অযাচিত যানবাহন চলাচল করার কারণে ১৭২ জনকে দন্ডিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬১টি মামলায় জরিমানা আদায় করা হয়েছে ৯১ হাজার ৬৫০ টাকা। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইমরান জাহিদ খান।

আরো সংবাদ