সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ ডাকার নিয়ম নেই- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী - কক্সবাজার কন্ঠ

শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪ ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২১-০৯-০৭ ১০:৩৫:৫৭

সরকারি কর্মকর্তাদের ‘স্যার-ম্যাডাম’ ডাকার নিয়ম নেই- জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক :  দেশে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৩২ মাসে প্রশাসনে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬০টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম আয়োজিত বিএসআরএফ সংলাপে অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

 তিনি বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থা ও মন্ত্রণালয়ে ব্যাপকভাবে পদ সৃজন করেছি। পদ সৃজনের কাজটি জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় করে থাকে। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমরা প্রশাসনে এক লাখ ৪০ হাজার ৮৬০টি পদ সৃজন করেছি। নিয়োগের জন্য ৭ হাজার ৯৪৮টি পদের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। চার হাজার ৭২৬টি যানবাহন টিও অ্যান্ড ই-তে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ৪৮ হাজার ৫১০টি পদ বিলোপে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে।’

 
ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘এই সময়ে ৩৭তম বিসিএসের মাধ্যমে এক হাজার ৪৯টি, ৩৮তম বিসিএসের মাধ্যমে দুই হাজার ৩৪টি ও ৩৯তম বিসিএসের মাধ্যমে ছয় হাজার ৭২৭টিসহ মোট ১০ হাজার ১১০টি পদে ক্যাডার কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি থেকে গত ৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ক্যাডার সার্ভিসের পাঁচ হাজার ৭৪৪ জনকে দেশে ও ৪৭৭ জন কর্মকর্তাকে বিদেশে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। বিসিএস প্রশাসন একাডেমির প্রশিক্ষণ মডিউল যুগোপযোগী করেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ডিজিটালাইজেশনের সুবিধা ব্যবহার করে দ্রুত কাজ করার জন্য ১৯টি সফটওয়্যার প্রস্তুত করা হচ্ছে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ৮০৩টি আইন ও বিধিবিধানের বিষয়ে বিধিগত মতামত প্রদান করেছি ও ৪৮৪টি নিয়োগবিধি প্রবিধানের সংশোধনও করা হয়েছে এই সময়ের মধ্যে।’

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে তার প্রাপ্য সম্মান-মর্যাদা দিয়ে তাদের সেবক হিসেবে কাজ করবে- এই লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। সেজন্য আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে আমরা যুগোপযোগী পদায়ন নীতিমালা তৈরি করতে চাই। আমরা দক্ষ, জবাদিহিতামূলক প্রশাসন গড়ে তুলতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য’

 
এসময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী সরকারি কর্মকর্তাদের স্যার-ম্যাডাম ডাকার মতো কোনো নিয়ম রুলস অব বিজনেসে নাই উল্লেখ করে বলেন, এ ধরনের ঘটনায় কোনো কর্মকর্তা দুর্ব্যবহার করলে সেটা দুর্নীতি হিসেবে বিবেচনা করা হবে।
সাম্প্রতিক বরিশালের ঘটনা টেনে তিনি বলেন, সবাই আইনের মধ্যে থাকতে হবে। স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কোনো সমস্যা মনে হলে প্রথমে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে। পরবর্তীতে বিভাগীয় কমিশনারের সঙ্গে সমস্যা নিয়ে আলোচনা করানো যেতে পারে। বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশ দেয়া আছে প্রতি ১৫ দিন পর ইউএনওদের সঙ্গে বৈঠক করতে।
বিএসআরএফ সভাপতি তপন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সংলাপে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. শাহেনুর মিয়া উপস্থিত ছিলেন। সূত্র- সময় সংবাদ।

আরো সংবাদ