হত্যা মামলায় প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন - কক্সবাজার কন্ঠ

শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২১-০৬-২৭ ০৮:২১:৪৩

হত্যা মামলায় প্রদীপসহ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন

মেজর সিনহা হত্যা মামলায় আসামিদের বক্তব্য গ্রহণ চলছে

কক্সবাজার কন্ঠ ডেস্ক : অবশেষে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র গঠন করা হয়েছে। একই সাথে সাবেক ওসি প্রদীপ ও কনষ্টেবল সাগরসহ ৬ জনের জামিন আবেদন নাকচ করেন। রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ আদেশ দেন। এদিন বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত টানা শুনানি চলে। এতে উভয় পক্ষের আইনজীবীরা বক্তব্য উপস্থাপন করেন। আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করা হয়েছে।

আদালত থেকে বেরিয়ে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এডভোকেট ফরিদুল আলম জানান, টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত আলোচিত সেনাবাহিনীর সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার চার্জ গঠনের দিন ছিল। আদালত উভয় পক্ষের বক্তব্য শুনে মামলার চার্জ গঠন করে এবং আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ জুলাই সাক্ষী গ্রহনের দিন ধার্য্য করা হয়েছে। একই সাথে সাবেক ওসি প্রদীপ ও কনষ্টেবল সাগরসহ ৬ জনের জামিন আবেদন নাকচ করেছেন।

এর আগে সকাল ১০টার দিকে প্রদীপসহ ১৫ আসামীকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আদালতে ব্যাপক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। আদালত প্রাঙ্গণে আসামীদের স্বজনরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে আসামীদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

উল্লেখ্য, গত বছরের ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গাড়ি তল্লাশিকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

এ ঘটনায় গত ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। আদালত মামলাটির তদন্ত করার জন্য র‌্যাবকে আদেশ দেন।

এরপর গত ৬ আগস্ট প্রধান আসামি লিয়াকত আলী ও টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৭ পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পরবর্তীতে সিনহা হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সংশ্লিষ্টতা পাওয়ায় অভিযোগে পুলিশের দায়ের করা মামলার ৩ জন সাক্ষী এবং শামলাপুর চেকপোস্টের দায়িত্বরত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

এছাড়া একই অভিযোগে পরে গ্রেপ্তার করা হয় টেকনাফ থানা পুলিশের সাবেক সদস্য কনস্টেবল রুবেল শর্মাকেও। মামলায় গ্রেপ্তারকৃত ১৪ আসামিদের র‌্যাবের তদন্তকারী কর্মকর্তা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। পরে ১৩ ডিসেম্বর ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট জমা দেন তদন্ত সংস্থা র‌্যাব।

আরো সংবাদ