বিএনপিকে চায়ের দাওয়াত দেবেন সিইসি - কক্সবাজার কন্ঠ

বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২২-০২-২৮ ১৯:৪৩:১৪

বিএনপিকে চায়ের দাওয়াত দেবেন সিইসি

বললেন ‘জেলেনস্কির মতো লড়াই করবেন

নিউজ ডেস্ক :  আস্থা অর্জনে বিএনপি নেতাদের চায়ের আমন্ত্রণ জানানোর কথা ভাবছেন নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। কারণ আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপিসহ সব দলের অংশগ্রহণে একটি ‘ভালো’ ভোটের আয়োজন করতে চান তিনি।

গতকাল দায়িত্ব বুঝে নেয়ার প্রথম দিন রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। চার নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, আহসান হাবীব খান, মো. আলমগীর ও আনিছুর রহমান এ সময় সিইসির পাশে ছিলেন।

ভোটে বিএনপির না আসার সম্ভাবনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘বিএনপি যদি এমন ঘোষণা দিয়েও থাকে, আমরা কি তাদের চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাব না? কোন কথাই শেষ কথাই নয়।’

নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচন বর্জন করেছিল বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল। পরে তারা একাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোট ডাকাতির অভিযোগ এনে ফল প্রত্যাখ্যান করে। বিএনপি এখন বলছে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে না হলে আগামীতে কোন নির্বাচনে যাবে না তারা।

এ প্রসঙ্গে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘মাঠ ছেড়ে চলে গেলে হবে না। মাঠে থাকবেন। কষ্ট হবে। জেলেনস্কি (ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট) হয়তো দৌঁড়ে পালিয়ে যেতে পারতেন। তিনি পালাননি। তিনি (জেলেনস্কি) বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধ করব। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরোধ যুদ্ধ করে যাচ্ছেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। যেখানেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়, কিছুটা ধস্তাধস্তি হয়।’

বিএনপির নির্বাচনকালীন সরকারের দাবি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচন সরকার করে না। নির্বচানের সময় একটা সরকার থাকে। কোন না কোন সরকার থাকবেই। ওয়ান-ইলেভেনের সময় ছিল, নির্দলীয় সরকার ছিল। এখন যে সাংবিধানিক ব্যবস্থা আছে, সেটা মেনেই আমরা চেষ্টা করব, ভোটাররা যাতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সেটা বড় চ্যালেঞ্জ।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিশাল কর্মযজ্ঞ, বিশেষ করে জাতীয় নির্বাচন। যেখানে রাজনৈতিক দলগুলোর আগ্রহ থাকে। সবারই আবেগ বুঝতে হয়। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা রয়েছে। নির্বাচনে অনেক (দলের) কর্মী থাকে, সেখানে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’

সিইসি বলেন, ‘আমরা প্রত্যাশা করি সবাই নির্বাচনে অংশ নিয়ে গণতন্ত্রকে সুসংহত করবেন। যারা নির্বাচন করবেন তাদের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করার দায়িত্ব কমিশনের। কর্মপদ্ধতি কী হবে সেটি ঠিক করিনি। তবে জানতে কিছু জ্ঞান অর্জন করেছি। সাংবিধানিক শপথ অনুযায়ী দায়িত্ব পালনের চেষ্টা থাকবে।’

সিইসি বলেন, ‘আজ আমরা যে (প্রথম) সভা করেছি, সেটা নিজেদের মধ্যে পরিচিতি পর্ব ছিল। কমিশনের কর্মপরিধি সম্পর্কে ইসি সচিব আমাদের অবহিত করেছেন। সিইসি আরও বলেন, আমাদের সামর্থ্য-শক্তি অসীম নয়। এটি সব সময় আপেক্ষিক। যার যার অবস্থান থেকে করণীয় অনুসারে কাজ না করলে হবে না। কারও ব্যর্থতা থাকলে স্বীকার করতে হবে।’

ভোট আয়োজনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব অভিজ্ঞ নই। আমি একেবারেই নতুন। তবে গণমাধ্যমে নির্বাচনের খবর দেখেছি। নির্বাচন ঘরে বসে পর্যবেক্ষণ করেছি। কিছুটা অস্বচ্ছ হলেও ধারণা আছে। আমরা সততা-নিষ্ঠার সঙ্গে নির্বাচন বিষয়ে দায়িত্ব পালন করবো।’

প্রসঙ্গত, কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন এই ইসির পরিচালনায় আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। ফলে বিরোধী দলগুলোর আস্থা অর্জনই নতুন ইসির জন্য চ্যালেঞ্জ বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।

আরো সংবাদ