কটেজে সাঁড়াশি অভিযান : পতিতা খদ্দেরসহ আটক ৫২ - কক্সবাজার কন্ঠ

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২১-০১-০৮ ২১:৫৯:৪৩

কটেজে সাঁড়াশি অভিযান : পতিতা খদ্দেরসহ আটক ৫২

কটেজ জোনে সাঁড়াশি অভিযানে পতিতা খদ্দেরসহ আটক ৫২

এমএ আজিজ রাসেল : কক্সবাজার কটেজ জোনে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে পতিতা খদ্দরসহ ৫২ জনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ৩৬০টি ইয়াবা। ৮ জানুয়ারি বিকাল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত কটেজ জোনে কক্সবাজার সদর থানার ওসির নেতৃত্বে এ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়।
জানাগেছে, হোটেল মোটেল জোনে পর্যটন ব্যবসার আড়ালে সক্রিয় রয়েছে অপরাধী চক্র। কতিপয় তারকা মানের হোটেল, এ্যাপর্টম্যান্ট ও কলাতলী সাংস্কৃতির কেন্দ্রর সামনে অবস্থিত কটেজে প্রকাশ্যে পতিতা ব্যবসা চলে আসছে। এসব কটেজ রিসোটের ম্যানেজার ও হোটেল বয় স্থানীয়সহ ঢাকার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জ থেকে মহিলা ও উঠতি বয়সের তরুণী সংগ্রহ করে প্রতিদিন তাদেরকে দিয়ে ঘণ্টা ও নাইট হিসেবে ওইসব রিসোর্টে দেহ ব্যবসা করে টাকার পাহাড় গড়েছে। ফলে ধ্বংসের পথে ধাবিত হচ্ছে তরুণ ও যুব সমাজ।

তাই অবশেষে হোটেল মোটেল জোনে মাদক, জুয়া, পতিতা, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধ নিয়ন্ত্রণের জন্য এবার হার্ডলাইনে অবস্থান নিয়েছে কক্সবাজার পুলিশ। যার অংশ হিসেবে এ সাঁড়াশি অভিযানে নেমেছে পুলিশ। এ সময় অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে কটেজ জোনে কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গিয়াস ও ওসি (তদন্ত) বিপুল চন্দ্র দে’র নেতৃত্বে ৪টি কটেজে অভিযান চালানো হয়েছে। অভিযানে কটেজের ম্যানেজার কর্মচারি, পতিতা ও খদ্দেরসহ ৫২ জনকে আটক করা হয়। আটক ৫২ জনের মধ্যে ৩১ জন পুরুষ ও ২১ জন নারী। এসময় উদ্ধার করা হয়েছে ৩৬০টি ইয়াবা।
অভিযান সূত্রে জানাগেছে, গত অর্ধমাস ধরে হোটেল মোটেল জোনে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নজরদারিতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়। যার ভিত্তিতে শুক্রবার ৪টি কটেজে অসামাজিক কার্যকলাপ চালানোর অভিযোগে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানে লাইট হাউজ স্বরণ এলাকার আমির ড্রিম প্যালেজ থেকে ১ জন কর্মচারি, ৭ জন খদ্দের ও ২ জন যৌনকর্মী আটক করা হয়। মিম রিসোর্ট থেকে ১ জন কর্মচারি, ১২ জন খদ্দের ও ১৭ জন যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। এছাড়া আজিজ গেষ্ট ইন থেকে ১০ জন খদ্দের ও ২ যৌনকর্মীকে আটক করা হয়। সেখান থেকে ৩৬০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। অভিযানের বিষয়টি বুঝতে পেরে একটি কটেজ থেকে গোপন পথ দিয়ে সবাই পালিয়ে যায়।

অভিযান প্রসঙ্গে কক্সবাজার সদর থানার ওসি শেখ মুনীর উল গীয়াস জানান, হোটেল মোটেল জোনে অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়েছে। প্রতিদিন এভাবে ঝটিকা অভিযান চলবে। অভিযানে আটক সকলের বিরুদ্ধে মাদক পাচার আইনের মামলা রুজু করা হবে। মামলা কটেজ মালিকদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। পর্যটন শহরের মাদক, জুয়া, চুরি, ছিনতাই ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশি অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, অচিরেই পর্যটন শহরকে সব ধরনের অপরাধমুক্ত করা হবে। এছাড়া যানজট পরিস্থিতিও স্বাভাবিক রাখা হবে। এ জন্য কাজ করে যাচ্ছে কক্সবাজার পুলিশ। কোন অপরাধীদের ছাড় দেয়া হবে না।

আরো সংবাদ