চকরিয়ায় প্যারাবন উজাড় করে চিংড়িঘের - কক্সবাজার কন্ঠ

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবার

বিষয় :

প্রকাশ :  ২০১৯-০৩-১৬ ১৯:৪৫:০৫

চকরিয়ায় প্যারাবন উজাড় করে চিংড়িঘের


উপকুলীয় অঞ্চলে পরিবেশগত সংকট তৈরির শঙ্কা

এম.জিয়াবুল হক:

চকরিয়া উপজেলার উপকুলীয় জনপদের বদরখালীতে এবার অনত্মত শতাধিক একর প্যারাবন কেটে প্রবহমান খালে বাঁধ দিয়ে তৈরি হচ্ছে অবৈধ চিংড়িঘের। স’ানীয় একটি প্রভাবশালী দখলবাজ চক্র প্রায় ১৫দিন ধরে সেখানে নির্বিচারে প্যারাবন কেটে জায়গার আয়তন বাড়ানোর পাশাপাশি স্কেভেটর দিয়ে মাটি তুলে খালের দুইপাশে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। বর্তমানে চক্রটি উপজেলার বদরখালী মৌজার অধীনে বদরখালী সমিতির মালিকানাধীন ৩নম্বর বস্নক গোলদিয়া ঘের এলাকার মারম্যাট প্রকল্পের পাশের অনত্মত একশ একর প্যারাবন উজার করে উলেস্নখিত জায়গা দখলে নিয়েছে। অভিযুক্তরা স’ানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় জায়গার মালিকপড়্গ বদরখালী সমিতির সংশিস্নষ্টরা তাতে বাঁধা দিতে সাহস পাচ্ছেনা বলে অভিযোগ তুলেছেন সমিতির একাধিক সভ্য। বদরখালী সমিতির একাধিক সভ্য জানান, ২০০৭ সালের দিকে স’ানীয় অপর একটি চক্র বদরখালী সমিতির মালিকানাধীন ৩নম্বর বস্নক গোলদিয়া ঘের এলাকার মারম্যাট প্রকল্পের পাশের উলেস্নখিত প্যারাবন দখলে নিয়ে চিংড়িঘের তৈরির তোড়জোড় শুরম্ন করেন। ওইসময় মারম্যাট প্রকল্পের পাশের প্রবহমান খালটি জবরদখল হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়ায় উপকুলীয় জনপদে পরিবেশগত সংকটাপন্ন অবস’া হতে পারে এমন অভিযোগ তুলে সমিতির সাবেক সম্পাদক দেলোয়ার হোছাইন বাদি হয়ে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ১৩৩ ধারায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। সমিতির সংশিস্নষ্টরা জানান, লিখিত অভিযোগের প্রেড়্গিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.শাহ আলম তাৎড়্গণিক বদরখালী সমিতির মালিকানাধীন ৩নম্বর বস্নক গোলদিয়া ঘের এলাকার মারম্যাট প্রকল্পের পাশের ওই প্যারাবন রড়্গায় জবরদখলকারীদের বিপড়্গে আইনগত ব্যবস’া গ্রহণে থানার ওসিকে নির্দেশ দেন। এরপর থানার ওসির নির্দেশনায় বদরখালী পুলিশ ফাঁিড়র সদস্যরা ঘটনাস’লে পৌঁছে জবরদখল চেষ্টা ভন্ডুল করে দেন। ওইসময় পুলিশ দখলকারীদের সকল স’াপনাও গুড়িয়ে দেন। অভিযোগ রয়েছে, অভিযুক্ত প্রভাবশালী দখলবাজ চক্রটি প্রায় ১৫দিন ধরে সেখানে নির্বিচারে প্যারাবন কেটে জায়গার আয়তন বাড়ানোর পাশাপাশি স্কেভেটর দিয়ে মাটি তুলে খালের দুইপাশে বাঁধা দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিচ্ছে। এ অবস’ার কারণে উপকুলীয় জনপদের ইউনিয়ন বদরখালীতে পরিবেশগত সংকট তৈরির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি জানতে চাইলে বদরখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খাইরম্নশ বশর বলেন, প্যারাবন কেটে চিংড়িঘের নির্মাণ ও স্কেভেটর দিয়ে দিয়ে খাল থেকে মাটি তুলে খালে বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করার ঘটনাটি সত্য। তবে এ ঘটনায় কারা জড়িত সেই ব্যাপারে আমি কিছুই বলতে পারবোনা। সাবেক ইউএনও’র নির্দেশে দখলচেষ্টা বন্ধ থাকলেও বর্তমানে প্যারাবন নিধন ও চলাচল খালে বাঁধ দিয়ে ফের নতুন করে চিংড়িঘের তৈরির বিষয়টি অবহিত করা হলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে আমি ঘটনাস’লে উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভুমি) পাঠাবো। তদনেত্ম সত্যতা পেলে অবশ্যই জড়িতদের বিরম্নদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরো সংবাদ