মহেশখালীতে আত্মসমর্পণকারী ৪৩ জলদস্যুর জামিন - কক্সবাজার কন্ঠ

শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শনিবার

বিষয় :

প্রকাশ :  ২০১৯-০৫-০৮ ১১:৪৫:০৭

মহেশখালীতে আত্মসমর্পণকারী ৪৩ জলদস্যুর জামিন


ককক্সবাজার: কক্সবাজারের মহেশখালী-কুতুবদিয়ার আত্মসমর্পণকারী ৪৩ জলদস্যুকে জামিন দিয়েছে আদালত। ৮ মে দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক খোন্দকার হাসান মোহাম্মদ ফিরোজ এ আদেশ দেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ২০ অক্টোবর আত্মসমর্পণের পর তাদের বিরুদ্ধে মহেশখালী থানায় মামলা করা হয় (যার নং-০৮)। জিআর মামলা ২৮৬/২০১৮। এ মামলা থেকে উদ্ধৃত পৃথক দুইটি মিচ মামলায় (যার নং ৪৪৪৬/২০১৮) শুনানি শেষে ৩৭ জনকে ও ৮০৪/২০১৯ এ মামলায় বাকি ৬ জনকে জামিনের আদেশ দেন বিজ্ঞ বিচারক। কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মমতাজ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন
জামিনপ্রাপ্তরা হলো, মহেশখালীর সোনাদিয়ার বদিউল আলমের ছেলে ও আনজু বাহিনীর প্রধান আনজু মিয়া সিকদার, তার বাহিনীর সদস্য মৃত মোস্তফার ছেলে সুমন মিয়া, কুতুবজোমের মৃত এখলাছ মিয়ার ছেলে মকছুদ মিয়া, সোনাদিয়ার আব্দুর রহমানের ছেলে মোনাফ মিয়া, মোজাফফরের ছেলে মো. মোবারক, বাহাদুর মিয়ার ছেলে মনজু মিয়া, বাদশা মিয়ার ছেলে নুরুল মোস্তফা নাগু, নুরু মিয়ার ছেলে ছৈয়দ হোসেন, মৃত বাহাদুরের ছেলে নবাব মিয়া ও আব্দুল গফুর ওরফে নাগু মেম্বারের ছেলে ইমতিয়াজ উদ্দিন নকিব। কুতুবদিয়ার উত্তর ধুরুংয়ের মৃত নজির আহমদের ছেলে রমিজ উদ্দিন ও লেমশিখালীর মৃত আবু মুছার ছেলে ছালেহ আহমদ প্রকাশ ছইল্লা ডাকাত।
মহেশখালীর কালারমারছড়ার হাজী আবুল কাশেমের ছেলে নুরুল আলম প্রকাশ কালাবদা, ফকির জামপাড়ার মোহাম্মদ আমিনের ছেলে রশিদ মিয়া, নুরুল ইসলামের ছেলে মোহাম্মদ আলী, মৃত করিম মিয়ার ছেলে আলমগীর প্রকাশ টুইন্না ডাকাত, মৃত ইসমাঈলের ছেলে আবু জাফর প্রকাশ আবু জাইল্যা, ও মৃত নেজাম উদ্দিনের ছেলে আলা উদ্দিন।
হোয়ানকের ছিদ্দিক আহমদের ছেলে মো. ইসমাঈল, বশির আহমদের ছেলে মোস্তফা কামাল পারভেজ, সিদ্দিক আহমেদের ছেলে ওসমান, মৃত আবুল কালামের ছেলে আহমদ জামান, আবুল কালামের ছেলে নুরুল আমিন, ফরিদুল ইসলামের ছেলে আবু তাহের, মৃত সিদ্দিক আহমদের ছেলে আব্দুল মান্নান, মজিবুরের ছেলে মো. মান্নান, মৃত মুজিবুর রহমানের ছেলে মো. রাশেদ, মৃত ছৈয়দ আহমদ মো. লোকমান, নুর আহমদের ছেলে জয়নাল আবেদীন, মৃত মো. শরীফের ছেলে মো. শহিদুল্লাহ, মো. নাছিমের ছেলে মো. বাদল, মৃত রফিক উদ্দিনের ছেলে মাহাবুব আলম ও মৃত মৌলভী রফিক উদ্দিনের ছেলে আতা উল্লাহ বাহারী। হোয়ানকের মৃত বদর আমিনের ছেলে আব্দুল মান্নান কালু, সৈয়দ মিয়ার ছেলে জসিম, গোলাম কুদ্দুসের ছেলে রবিউল আলম, মৃত মোক্তার আহমদের ছেলে রুবেল, মৃত জোনাব আলীর ছেলে আবু তাহের, গোলাম কুদ্দুসের ছেলে আনোয়ার, মৃত সিরাজের ছেলে আনোয়ার পাশা, করিম দাদের ছেলে মো. ইউনূছ ও মো. কুদ্দুসের ছেলে মো. কামাল। এছাড়া আলা উদ্দিন বাহিনীর প্রধান মৃত সোনা মিয়ার ছেলে মো. আলাউদ্দিন।

উল্লেখ্য, গত বছরের ২০ অক্টোবর দুপুরে মহেশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে মহেশখালী-কুতুবদিয়ার ৬ জলদস্যূ বাহিনীর ৪৩ সদস্য। এ সময় একটি এসএমজি (বেলজিয়াম), একটি রিভলবার, বিদেশি পিস্তল দুইটি, দেশি-বিদেশি একনলা বন্দুক ৫২টি, দোনলা দুইটি, ওয়ান শুটারগান ১৯টি, থ্রি কোয়ার্টার গান ১৫টি এবং ২২ বোর রাইফেলসহ ৭ হাজার ৬৩৭ রাউন্ড গুলি জমা দেয়।

আরো সংবাদ