কক্সবাজারে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখল - কক্সবাজার কন্ঠ

বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪ ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২৩-০৭-০৮ ০৯:৫১:১৩

কক্সবাজারে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে জমি দখল

বার্তা পরিবেশক : কক্সবাজার শহরের খুরুশকুল রোড়ের মাথায় সওজের ও ব্যক্তি মালিকাধীন জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করছেন স্থানীয় একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলের পথও বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের রহস্যজনক নীরবতায় দখলবাজ চক্রটি আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। স্থানীয়রা বিষয়টি সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের একাধিকবার জানালেও রহস্যজনক কারনে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, শহরের খুরুশকুল রোড়ের উভয় পাশে সওজের ও ইষ্ট এশিয়া এন্টারপ্রাইজের জমি রয়েছে। ওই জমিতে ভূমিদস্যূরা বারংবার থাবা দিতে অপচেষ্টা করেছিলেন। অবশেষে শুক্রবার (৭ জুলাই) সকালে ভূমিদস্যূরা প্রশাসনের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে জবর দখল করে ওই জমিতে দোকান নির্মাণ করা শুরু করে। শুধু তাই নয়; নামে বেনামে সাইনবোর্ড বসিয়ে জমি জবর দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে ওই সিন্ডিকেটটি।

এদিকে ইষ্টএশিয়া এন্টারপ্রাইজের কক্সবাজার প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিক ভূমিদস্যূ চক্রটির সাথে পাল্লা দিতে না পেরে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। আদালতে দায়ের করা মামলাটি (যার মামলা নম্বর ৬৬৬/২০২৩) বিজ্ঞ বিচারক পর্যালোচনা করে ভূমিদস্যূদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করেন। পাশাপাশি শান্তি-শৃংখলা বজায় রাখার জন্য কক্সবাজার সদর থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।

মামলা সূত্রে জানাগেছে, কক্সবাজার শহরের টেকপাড়া বাসিন্দা মোস্তাক আহমদের ছেলে মমতাজুল ইসলাম, আব্দুল করিম নাগুর ছেলে মোহাম্মদ ডালিম, আবুল হোসাইনের ছেলে মোহাম্মদ কাশেম ও ইসমাঈলের ছেলে মোহাম্মদ এনামসহ একটি সিন্ডিকেট দীর্ঘদিন ধরে সওজ ও ইষ্ট এশিয়া এন্টারপ্রাইজের জমি দখল করে দোকান নির্মাণ করতে পাঁয়তারা করে আসছে। বাদী তাদের আসামী করে এ মামলা দায়ের করেন।

ভূক্তভোগি ইষ্ট এশিয়া এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিক জানান, ভূমিদস্যূরা প্রভাবশালী হওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মানছেন না। তারা বেপরোয়াভাবে দিনেদুপুরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সওজ ও ইষ্ট এশিয়া এন্টারপ্রাইজের জমিতে দোকান ঘর নির্মাণ অব্যাহত রেখেছেন।

এতে নিরুপায় হয়ে ভূক্তভোগি রফিক মহামান্য হাইকোর্টের আশ্রয় গ্রহণ করেন। গত ৭ জুন বিষয়টি হাইকোর্টকে অবগত করলে আদালত সওজ ও ইষ্ট এশিয়া এন্টারপ্রাইজের জমিসমূহ হতে ভূমিদস্যূদের উচ্ছেদ করে তাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদেশ দেন। কিন্তু মহামান্য হাইকোর্টের আদেশ এখনও বাস্তবায়নের আলো দেখেনি বলে জানান ভূক্তভোগি মোহাম্মদ রফিক। তিনি এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

আরো সংবাদ