রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : তুমব্রুতে নির্মাণ হচ্ছে আরেকটি ট্রানজিট ক্যাম্প - কক্সবাজার কন্ঠ

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রকাশ :  ২০২৩-১০-২৫ ১৩:২২:৩৮

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : তুমব্রুতে নির্মাণ হচ্ছে আরেকটি ট্রানজিট ক্যাম্প

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন : তুমব্রুতে নির্মাণ হচ্ছে আরেকটি ট্রানজিট ক্যাম্প

নিজস্ব  প্রতিবেদক :  বাংলাদেশ মিয়ানমারের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ইস্যুতে তেমন কোনো অগ্রগতি না থাকলেও প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি থেমে নেই। এর মধ্যে বান্দরবনের নাইক্ষ্যংছড়ির উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য আরও ১টি ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে। ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রæ পাহাড় পাড়া মাঠে এ ট্রানজিট ক্যাম্পের কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিত্র কন্সট্রাকশান।

ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রনালয়ের অধীনে শরণার্থী ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনের তত্ত্বাবধানে এ ক্যাম্প নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়েছে। গেল সোমবার (২৩ অক্টোবর) সকাল থেকে মাটি লেবেলিংয়ের কাজ ও ঘেরার কাজ পুরোদমে চলছে। এছাড়াও নির্মাণ শ্রমিকদের জন্য শেড তৈরীসহ প্রথম ধাপের কাজ হচ্ছে। পরের ধাপ হবে ট্রানজিট ক্যাম্পের মূল ঘর তৈরীর কাজ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মো. মিজানুর রহমান বলেন, ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় অর্থ দিয়েছে দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরকে। তারা ট্রেন্ডার করে ঠিকাদার নিয়োগ করেছে। আর জায়গা দিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন। আর দেখভাল করছে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কার্যালয় কক্সবাজার। এই প্রকল্পের কার্যাদেশ দিয়েছে মাস দেড়েক আগে আর জেলা প্রশাসন জায়গা বুঝিয়ে দিয়েছে দু’সপ্তাহ আগে।

নতুন ট্রানজিট সেন্টারগুলো হচ্ছে বান্দরবানের তুমব্রæ, ঘুমধুম ও কক্সবাজারের টেকনাফে। এর আগে দুটি ট্রানজিট ক্যাম্প হয়েছে একটি টেকনাফের কেরুনতলীতে ও আরেকটি উখিয়ার টিভি টাওয়ারের বিপরীতে বান্দরবানের ঘুমধুম অংশে। এছাড়াও টেকনাফের কেরুনতলীর জেটিটি মেরামতের জন্য ট্রেন্ডারও দেয়া হয়েছে, এই জেটিটিও মেরামত হবে।

তিনি জানান, মূলত প্রত্যাবাসনের জন্য ট্রানজিট সেন্টারগুলো করা হচ্ছে। স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের জন্য ইচ্ছুক রোহিঙ্গাদের প্রথমে এনে ট্রানজিট সেন্টারগুলোতে রাখা হবে। তারা হয়তো এক বা দু’রাত এই সেন্টারগুলোতে অবস্থান করবে। প্রতিটি ট্রানজিট সেন্টারে একসঙ্গে ৫০০ রোহিঙ্গা থাকতে পারবে।

সূত্র দাবী করেন, ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মাণ কাজ শেষ হলে তালিকা সম্পন্ন করা রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের জন্যে এ ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে স্বল্পদিন। তারপর তাদের মিয়ানমারে পার করে দিতে প্রত্যাবাসন অফিস হয়ে মিয়ানমার কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করবে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়। সেই ট্রানজিট ক্যাম্প নির্মানের জন্যে জমি বরাদ্ধ নেয়া হয় ৩.৩০ একর। পাশে আরও ৮ থেকে ১০ একর খাস জমি এখানও খালি রয়েছে। যেখানে প্রথম পর্যায়ে ৪৭টি টিন শেড ঘর, ১টি কনফারেন্স রুম ও ১০টি ওয়াশরুম তৈরি করা হবে বলে সুত্রটি নিশ্চিত করেছে।

এ নিয়ে নাইক্ষংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, মূলত এটি সরকারের নির্দেশে করা হচ্ছে। যা যথাসময়ে শেষও করতে হবে।

আরো সংবাদ