সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল : দুর্ঘটনার আশঙ্কা - কক্সবাজার কন্ঠ

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সোমবার

প্রকাশ :  ২০২১-১২-২১ ১৪:৩৬:২৫

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল : দুর্ঘটনার আশঙ্কা

জসিম সিদ্দিকী, কক্সবাজার : দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে দেশী-বিদেশী পর্যটকের ঢল নেমেছে। এদিকে পর্যটকরা কোনো ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) অবকাশকালীন সময় কাটাতে পরিবার ও নিকটজনদের নিয়ে পর্যটকরা ছুটে এসেছেন টেকনাফের সেন্টমার্টিন দ্বীপে।

অন্যদিকে সেন্টমার্টিন জেটির বেহাল অবস্থা। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। এই জেটিঘাট নিয়ে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা সবার মাঝে থেকেই যাচ্ছে।

রাত্রিকালীন সমুদ্রের সৌন্দর্য উপভোগ করতে নদী-সাগর পাড়ি দিয়ে হাজারো পর্যটক এখন সেন্টমার্টিনে অবস্থান করছেন। ইতিমধ্যে দ্বীপের শতাধিক আবাসিক হোটেল এবং কটেজসমূহ পর্যটকে ভরে গেছে।

হোটেল মালিকরা জানান, লকডাউন পরবর্তী সময়ে ছুটির সুযোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপনের ফাঁকে আগে থেকেই ৯০% পর্যটক সেন্টমার্টিনের হোটেল এবং কটেজে বুকিং দিয়েছেন।

এমনকি হোটেল-কটেজ পরিপূর্ণ হলে হাজারো পর্যটক সৈকতের বালিয়াড়িতে রাত কাটাবেন বলে জানা গেছে। অনেকেই আবার সেন্টমার্টিনে রুম না পেয়ে ঘর ভাড়া করে নিয়েছেন বলে জানা যায়।

ঢাকা মিরপুর থেকে ভ্রমণে আসা পর্যটক নাবিল হোসাইন বলেন, সেন্টমার্টিন দ্বীপে এসে রাতযাপন করার শখ ছিল দীর্ঘ দিনের। আনন্দ উদযাপন করতে পরিবার নিয়ে প্রবাল দ্বীপে ছুটে এসেছি।

সেন্টমার্টিন হোটেল কটেজ মালিক সমিতির নেতা মুজিবুর রহমান জানান, অবকাশকালীন সময়ে পর্যটকে ভরে গেছে সেন্টমার্টিন। পর্যটকরা প্রতি বছর এ সময়ে সেন্টমার্টিনে আসেন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। দ্বীপের হোটেল-কটেজ মালিক সমিতি সব সময়ই পর্যটকদের সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে বদ্ধপরিকর।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, ছুটিতে ৭/৮ হাজারেরও বেশি পর্যটক দ্বীপে এসেছেন। অনেক পর্যটক হোটেল-কটেজে জায়গা না পেয়ে ইতিমধ্যে তাঁবু, প্যান্ডেল ভাড়া নিয়েছেন। তিনি আরও জানান, পুলিশ, কোস্টগার্ড, বিজিবি সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছেন। তবে সেন্টমার্টিন জেটিঘাট নিয়ে একটি বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা সবার মাঝে থেকেই যাচ্ছে।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল : দুর্ঘটনার আশঙ্কা

সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটকের ঢল : দুর্ঘটনার আশঙ্কা

কক্সবাজারের শ্রমিক নেতা রফিকুল ইসলাম জানান, সেন্টমার্টিন জেটিঘাট নিয়ে যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভবনা আছে। প্রশাসন দায় এড়াতে পারবে না। সময় থাকতে দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহনের তিনি জোর দাবী জানিয়েছেন।

এ নিয়ে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী  কক্সবাজার কন্ঠকে জানান, এ সময়ে পর্যটকদের আটকানো বড়ই কঠিন কাজ। জেটিতে কিছু কাজ করা হয়েছে মোটামুটি নিরাপদ বলা যায়। তবে সামনে সরকারিভাবে সেন্টমার্টিন জেটিতে কাজ করা হবে। আর পর্যটকদের নিরাপত্তার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আরো সংবাদ